ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন সাহিত্যে পোড়ামাটির খেলনার বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ বর্ণনা, মন্দিরের প্যানেল ভাস্কযের্, বৈধ্যদের বিশাল স্তুপায় নকশায় পোড়ামাটির নকশি পুতুলের সন্ধান পাওয়া যায়। এই সকল শিল্পকর্মের নকশাশৈলীতে লোকশিল্পের স্পষ্ট ছাপ বিদ্যমান। এছাড়া রাজশাহী জেলার নিকটে পাহাড়পুরে ও বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত প্রাচীন টেরাকোটার নকশাশৈলীতে প্রচুর পরিমাণে লোকজ উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের কিছু দেবতার মূর্তি এবং চাকাযুক্ত খেলনা যা দাড়ি বেঁধে শিশুরা টেনে থাকে,এসকল খেলনাগুলোতেএনাটর্মিকাল সাজয্য রয়েছে কিন্তু এগুলো খুবই সাধারণ ফরমে কাল্পনিক চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। প্রাচীনকালেও পুতুলগুলোর দেহায়ব কাল্পনিক মনবৃত্তি থেকেই উৎসারিত হতো। সিন্ধু সভ্যতায় অবিকৃত পোড়ামাটির খেলনা বিশেষ করে হরোপ্পা ও মহেনয়োদারোর ধ্বংসাবশেষ থেকে আবিষ্কৃত পোড়ামাটির খেনলার সাথে এ অঞ্চলের খেলনার অনেটা সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এই খেলনাগুলো ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। আবারবিশেষ ক্ষেত্রে ১ ফুট পর্যন্ত লম্বাও তৈরি করতে দেখা যায়। ঐতিহ্যবাহী পোড়ামাটির নকশি খেলনাগুলো আজও প্রাচীন ধারাকে অবিকৃত রেখে তৈরি হচ্ছে। কিশোরগঞ্জের সুনীল পাল ও তার স্ত্রী আজও পুরুষানুক্রমে ঐতিহ্যের এই ধারা এগিয়ে নেয়ার কাজ করছেন।