আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর/সংস্থার মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষর হয়েছে। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ চুক্তিতে তার প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সচিব আক্তারী মমতাজ ও দপ্তর/সংস্থার পক্ষে এর প্রধানগণ স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীশ কুমার সরকার, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক একরাম আহমেদ, গ্রন্থাগার ও আরকাইভস্ অধিদপ্তরের পরিচালক ওদুদুল বারী চৌধুরী, বাংলা একাডেমির সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন, লোক ও কারুশিল্প ফাইন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আর্কাইভস্ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাইন্ডেশন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কপিরাইট অফিস, নজরুল ইনস্টিটিউট, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি), ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী, বিরিশিরি, নেত্রকোণা, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী, রাজশাহী ও মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী, মৌলভীবাজার।
ইতোমধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সচিব ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষর করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক এ মন্ত্রণালয় অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর করল।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, আজ এ মন্ত্রণালয়ের সাথে এর দপ্তর/সংস্থাসমূহের যে বার্ষিক কর্মসম্পদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো তা একটি তাৎপর্যময় ঘটনা। মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আনয়নে এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা বাড়াতেও এ চুক্তি সাহায্য করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপূর্ণভাবে অর্জিত হবে এবং প্রদেয় সেবার মান বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব সূচকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দিন বদলের সনদ অনুযায়ী বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। এ উন্নয়নের যাত্রাকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক কাজের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষ্যমাত্রা ও কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বার্ষিক কর্মসম্পদন চুক্তির প্রবর্তন করা হয়েছে। এটি সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে একটি অঙ্গীকার, যার মাধ্যমে তাঁরা সততা, দায়িত্বশীলতা, সৃজনশীলতা ও শ্রমের বিনিময়ে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
উল্লেখ্য, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও গতিশীলতা আনয়নের জন্য সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রবর্তন করেছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যক্রম পদ্ধতি নির্ভর থেকে ফলাফল নির্ভর করা এ চুক্তির উদ্দেশ্য। প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও একই সঙ্গে সম্পদের উত্তম/যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাও এ চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য। এ চুক্তির আওতায় একটি অর্থবছরে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে কি কি কার্য সম্পাদন করা হবে, কিভাবে করা হবে সূচকের ভিত্তিতে তার রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বস্তুনিষ্ঠ পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে, যা সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।